আসরের শুরুটা ভালো হয়নি সিলেট স্ট্রাইকার্সের। নিজেদের প্রথম পাঁচ ম্যাচেই হেরে বসেছে। ষষ্ঠ ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেয়েছে সুরমাপাড়ের দলটি। নতুন জার্সি ও নতুন নেতৃত্বে খেলতে নেমে দুর্দান্ত ঢাকাকে ১৫ রানে হারিয়েছে।
ভাষার মাসকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সিলেটের ২০টি ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলে বানানো সবুজ রঙের বিশেষ এক জার্সি পরে ঢাকার বিপক্ষে নেমেছে সিলেট। অন্যদিকে দলটির অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো জয়ী হয়ে পেয়েছেন সংসদের হুইপের দায়িত্ব। দায়িত্ব পালনে বিপিএল ছেড়েছেন তিনি। পরিবর্তে এই ম্যাচ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সহ-অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন।
সিলেটের শুরুটা ছিলো নড়বড়ে। উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যানই নাজমুল হাসান শান্ত এবং শামসুর রহমান পাওয়ার প্লের মধ্যেই আউট হয়ে যায়। কোন রান না করেই শামসুর রহমান এবং ৩ রানে আউট হন নাজমুল শান্ত। দুজনকেই শিকার করেন শরিফুল ইসলাম।
এরপর দলের হাল ধরেন বিদেশি ক্রিকেটার সমিত প্যাটেল। আরাফাত সানির বলে আউট হওয়ার আগে তিনি ৩২ বলে ৩২ রান করেন। এরপর মোহাম্মাদ মিথুন বাদে সিলেটের আর কেউই সেই অর্থে ঢাকার বোলিংয়ের সামনে দাড়াতে পারেনি। তাঁর ৪৬ বলে ৫৯ রানের সুবাদে সম্মানজনক স্কোর ১৪২ করে দলটি।
ঢাকার হয়ে শরিফুল ইসলাম ৪ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া আরাফাত সানি ২টি, তাসকিন আহমেদ এবং উসমান কাদির একটি করে উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাটে নেমে ঢাকার কেউই ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ব্যাটে নেমে ঢাকার দলীয় ১৪ রানে উদ্বোধনী ব্যাটার সায়েম আউব এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন। ৯ বল খেলে ১৩ রান করেছিলেন তিনি। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার মোহাম্মাদ নাঈম ৬ বলে মাত্র ২ করতে পেরেছিলেন। এরপর মাঠে নামা সাইফ হাসান রান আউট হওয়ার আগে ১৯ বলে ১৭ রান করেন। অ্যালেক্স রোজ ১৮ বলে ২০ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন। অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন ১৪ বলে ১১ রান করেন। শেষ দিকে তাসকিন আহমেদ ১১ বলে ২৭ রানের ক্যামিও খেলেন। কিন্তু তাঁর সেই ঝড়ো ইনিংস জয়ের জন্য যথেষ্ঠ ছিলো না। ফলে ৯ উইকেটে ১২৭ রানে থেমে যায় ঢাকার ইনিংস।
সিলেটের হয়ে রিচার্ড নাগারভা ৪টি উইকেট, রেজাউর রহমান ২টি এবং নাঈম হাসান, বেনি হোয়েল ১টি করে উইকেট লাভ করেন।